আমার কাছে প্রিয়াঙ্কা বলে একটি মেয়ে পড়তে আসতো। দেখতে বেশ সুন্দরী। তার প্রতি আমার যে দুর্বলতা ছিলো না, তা বলা ভুল। আমি একজন স্কুলের শিক্ষক, সাথে টিউশন পড়াই। আমার কাছে বহু ছাত্র ছাত্রী পড়তে আসে, পড়াশোনা করে, চলে যায়। তাদের মধ্যে প্রিয়াঙ্কাও একজন। আমার সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে প্রিয়াঙ্কাও একজন।
প্রিয়াঙ্কাদের ব্যাচটা সন্ধ্যের দিকে। আর প্রিয়াঙ্কার মা এবং আমার স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক খুব ভালো। যার জন্য প্রিয়াঙ্কার পরিবারের সাথে আমাদের পরিবারের সম্পর্ক অন্য রকম পর্যায়ে চলে গিয়েছে। যার ফলে প্রিয়াঙ্কা আমার ছাত্র হওয়ার সাথে সাথে একপ্রকার আত্মীয়তে রূপান্তরিত হয়েছে। এরজন্য ব্যাচ শেষ হয়ে গেলেও প্রিয়াঙ্কাকে অনেক সময় স্পেশাল ক্লাস দিতে হয় বা অনেক সময় সে দেরী করে বাড়ি যায়।
একদিন আমার স্ত্রী বাপের বাড়ি ঘুরতে যায় এবং আমাকে টিউশন ও স্কুল কামাই করে যাওয়া হয়ে ওঠেনি। যার দরুন, আমি বাড়িতে থেকে যাই।
সেদিনই প্রিয়াঙ্কারও বাড়িতে কেউ ছিলো না। তাই ওর দাদা রাতে বাড়ি ফেরার পথে তাকে আমার বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার কথা।
আগেই বলেছি, প্রিয়াঙ্কাদের ব্যাচ বিকেলের দিকে।
সুতরাং বিকেল 6টের সময় ব্যাচ শুরু হয় এবং 8 টার মধ্যে ব্যাচ শেষ হয়ে যায়। আজকের দিনটা প্রিয়াঙ্কাকে একটু অন্যমনষ্ক লাগলো। কেন জানি না, সে কিছু লুকোচ্ছে মনে হলো!
আমি আর গুরুত্ব না দিয়ে ব্যাচ পড়িয়ে আমি ফ্রেস হতে বার্থরুমে গেলাম। ওর দাদার বাড়ি ফিরতে ফিরতে রাত 9.30 কি 10টা বাজবে। প্রিয়াঙ্কার বাড়ির লোক জানে না যে, আমার বাড়িতে আজ আমার স্ত্রী থাকবে না। আর আমারও এই বিষয়ে বলা হয়নি। নাহলে হয়তো তাকে তার বাড়ির লোক আমার কাছে পড়তে পাঠাতো সেইদিনকে।
যাই হোক, আমি ফ্রেস হয়ে নাইট ড্রেস পড়লাম। শীতকালের দিন, একটু সন্ধ্যে হতেই মনে হয় যেন গভীর রাত। চারিপাশে নিঃস্তব্ধ। আমি প্রিয়াঙ্কাকে বললাম, “তোমার বৌদি রান্না করে দিয়ে গিয়েছে। তুমি কিছু খেয়ে নাও দেন পড়তে বসো।”
প্রিয়াঙ্কাও কোনো কথা না বলে বাধ্য মেয়ের মতো খেয়ে, হাত মুখ ধুয়ে পড়তে বসলো। ততক্ষণ আমিও থালা বাসন ধুয়ে, টেবিল পরিষ্কার করে ঘরে গিয়ে প্রিয়াঙ্কার পাশে গিয়ে বসলাম।
প্রিয়াঙ্কা হঠাৎ আমাকে দেখে থতমত খেয়ে যায় এবং সাথে সাথে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে এনে আমাকে তার পড়ার বইটা দেয়। আমার কেন জানি না মনে হলো, সে বোধ হয় আমার থেকে কিছু একটা লাকানোর চেষ্টা করলো।
আমি জোড় করে, ওর থেকে লুকিয়ে থাকা বইটাকে কেড়ে নিলাম। আমি বইটা নিয়ে দেখতেই বুঝতে পারলাম, এটা কোনো পড়ার বই নয়, কামনার বই।
যার জন্য প্রিয়াঙ্কা ভয়ে ভয়ে মাথা নিচু করে রয়েছে। আমি ধীরে ধীরে তার দিকে হাতটা বাড়িয়ে দিয়ে বললাম, “ওটা কোনো ব্যাপার নয়, এই বয়সে হয়ে থাকে।”
আমি ধীরে ধীরে ওর গালে হাত বুলিয়ে দিলাম এবং বললাম, “ভয় পেয়ো না। তুমি না ভালো মেয়ে। তোমাকে কিছু বলবো না।”
ধীরে ধীরে তার মাথায় হাত বুলাতে লাগলাম। বুঝতে পারলাম, প্রিয়াঙ্কার এই বিষয়ে কোনো আপত্তি নেই। আমি সাহস করে ওর গালে হালকা করে চুমু খেয়ে একটু হালকা হাসি দিয়ে বললাম, “কেমন?”
এতক্ষণে প্রিয়াঙ্কা মাথা নাড়িয়ে বললো, “ভালো।”
আমি আবার ওর দুই গালে চুমু খাওয়া শুরু করলাম। এরপরেই ওর ঠোঁটে হালকা চুমু দিলাম। এই ভালোবাসাবাসি চললো বহুক্ষণ।
এরপর আমি ওকে আমার শোয়ার ঘরে নিয়ে যায় এবং আমরা ঘন্টা খানেক ধরে খুব মজা করলাম।
এরপর 10টা নাগাদ তার দাদা এসে তাকে নিয়ে যায়।
এরপরেও বহুবার সুযোগ পেলে আনন্দ করতাম একসাথে।
.jpg)
0 Comments