আমি যখন পর্ন দেখার প্রতি খুব বাজেভাবে  আসক্ত হয়ে পড়েছিলাম তখন আমার বয়স ছিল মাত্র পনেরো বছর!

একদিন স্কুলে টিফিনের পর দেখলাম কয়েকজন বন্ধু মিলে জটলা পাকিয়ে কি যেন করছে। আমি কৌতূহলী হয়ে তাদের কাছে গেলাম। আমাকে দেখেই তারা কিছু একটা লুকোনোর চেষ্টা করতে লাগল। আমিও নাছোড়বান্দা। আকুতি- মিনতির সুরে বললাম, “ তোরা কি করছিস আমাকেও দেখা।

তাদের মুখে ক্ষাণিকটা চিন্তার ভাজ দেখা দিলো। তারপর সবাই সবার সাথে চোখে চোখে কিছু একটা ইশারা করলো। আমি তখনও কৌতূহলী হয়ে দাঁড়িয়ে আছি।

  • “তোকে দেখাতে পারি এক শর্তে, তুই কাউকে বলবি না তো?গম্ভীর স্বরে বলল সৈকত।

“কি এমন করছে তারা যেটার কথা কাউকে বলা যাবে না!” মনে মনে ভাবতে লাগলাম।

এর মধ্যেই সৈকত গম্ভীর কণ্ঠে বললো, “যদি পারিস তাহলে বল।”

আমিও ইতঃস্ততঃ হয়ে কথা দিলা। একটু পর দেখলাম সৈকত পেছন থেকে একটা ফোন বের করল, স্মার্ট ফোন। তখনকার সময় আমাদের কারো কাছেই ফোন ছিল না। স্মার্ট ফোন তো দূরের কথা! আর স্কুলেও ফোন আনা নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু সৈকতের কাছে অনেক আগে থেকেই স্মার্ট ফোন ছিল। তার বাবা ছিলো বড়ো ব্যবসায়ী। প্রতিবছর তার বার্থডের সময় নানা কিছু গিফট দিত। এই ফোনটাও দিয়েছিল হয়তো।

খাানিক পরেই সৈকতের ফোনে চলতে শুরু করল অশ্লীল ভিডিও। প্রত্যেকের চোখে কেমন যেন অদ্ভুত দৃষ্টি এবং প্রত্যেকে কেমন যেন অচেনা অঙ্গভঙ্গি করতে লাগল। যা আমার একদম অপছন্দ ছিলো।

আমি অবাক হয়ে প্রশ্ন করলাম, “এগুলো কি দেখছিস তোরা? ফাল্তু সব নোংরা ভিডিও!”

অলোক বললো, “ওরে আমার ভালো ছেলে তোমার যদি দেখতে ইচ্ছে না করে, তুমি আসতে পারো। আমাদের কাজে ব্যাঘাত ঘটিও না।”এরপরে প্রত্যেকে আমাকে হেয় করে হাসতে লাগলো। যা আমার খুবই খারাপ লেগেছিলো। 

তাই আর দেরি না করে সেখান থেকে চলে যাচ্ছিলাম! কিন্তু পিছন থেকে সৈকতের গম্ভীর শব্দ শুনতে পেলাম, “এইগুলো যেন কেউ জানতে না পারে। তু্ই কথা দিয়েছিলি!”


সেদিন রাতে অদ্ভুতভাবে চোখে ঘুম নামলো না। সারা শরীরে কেমন যেন উত্তেজনা অনুভব করতে লাগলাম। যা এর আগে কখনো হয়নি। আমি যেন নিজের “আমি”কে চিনতেই পারছিলাম না। সেদিনই হয় তো আমার ভিতরের শয়তান জাগ্রত হয়েছিলো।  স্বপ্নের মধ্যেও  সৈকতের দেখানো ভিডিও ক্লিপটা চলে এলো। যার মধ্যে পুরুষ চরিত্রে আমি ছিলাম। যার ফলস্বরূপ পরেরদিন সকলে প্যান্ট ভিজে যায় এক অদ্ভুত তরল পদার্থের দরুণ। তখনও বুঝিনি, এই তরল পদার্থ আমার ভিতরে থাকা শয়তানের আস্ফালন।

সেদিন স্কুলে ভালো না লাগার দুনিয়ায় বিচরণ করছিলাম। সারাক্ষণ পেছনের বেঞ্চে বসে ছিলাম। প্রতিদিনের মত আজকেও সৌকত বন্ধুদের সাথে টিফিনের পরে জটলা পাকিয়েছে বাথরুমের পেছনে। আমি জানতাম, তারা কি করছে! আমি নিজেকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছিলাম, সেখানে না যাওয়ার। কিন্তু আমি ভাবলে কি হবে, আমার ভিতরের শয়তান ধীরে ধীরে জাগ্রত হওয়া শুরু করে দিয়েছে। সে আমাকে বাধ্য করলো, তাদের সাথে যোগদান করতে। 

আমি বার্থরুমের কিছুদূর যেতেই সৈকত আমাকে দেখে ইশারায় আমাকে ডাকলো। 


আমি কাছে যেতেই শুভ বললো, “এই তো আমাদের ভালো ছেলেটা আমাদের সাথে যোগ দিয়েছে।” 

এরপর প্রত্যেকে আমার সাথে মজা করলো এবং আমরা প্রত্যেকে একত্রে নতুন এক জগতে প্রবেশ করলাম। প্রথম প্রথম বেশ ভালোই লাগছিলো। উত্তেজনার চরম সীমাকে লঙ্ঘন আমরা নিজেরাই করতাম হস্তের মাধ্যমে।  

তখনও বুঝিনি এই সুখ ধীরে ধীরে আমার মধ্যে নেশার আকার ধারণ করবে। যা ড্রাগসের নেশার থেকেও ভয়ংকর।

এরপর থেকে আমি প্রতিদিন সৈকতদের সাথে থাকতাম। মাঝেমধ্যে স্কুল বা কোচিং ক্লাস ফাঁকি দিয়ে পারি দিতাম অচেনা অনুভূতির নতুন দেশে।

গ্রুপ স্টাডির নাম করে একসাথে সবাই মিলে এডাল্ট মুভি দেখতাম। নতুন নতুন ভিডিও আনমেত চলে যেতাম পাঁচ-ছয় কিলোমিটার দূরের দোকানে, কত টাকা পয়সা নষ্ট করেছি কেবল এই ভিডিও দেখে।


এরপর এমন একটা সময় এলো যখন বাবার উপরে চাপ দেওয়া শুরু করলাম স্মার্টফোন কিনে দেওয়ার জন্য। বিভিন্ন রকম বাহানার মাধ্যমে বাধ্য করলাম নতুন একটা ফোন কেনার। বাবার আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকা সত্ত্বেও বাবা কিনে দিলেন স্মার্টফোন এবং তাতেই বিস্তার করলাম অন্ধকার সাম্রাজ্য।

পড়াশোনায় আর মন বসত না। সবসময় কেমন যেন বিভোর, মাতালের মত হয়ে থাকতাম। মাথা ঘুরাত, ঘুমঘুম ভাব আসতো সবসময়।


ধীরে ধীরে পরিবারের সবার সাথে খারাপ আচরণ করা শুরু করলাম। এমনকি ভাবতেও লজ্জা করে নারী নাম শুনলেই কেমন যেন কাম বাসনা জাগ্রত হয়ে যেতো। সেই সময় জ্ঞাত থাকতাম যে আমি ভুল করছি। কিন্তু আমার ভিতরের শয়তান যে আমার উপরে আধিপত্য বিস্তার করেছে। আমার নিয়ন্ত্রণ যে আমার মধ্যে ছিলো না। হয়তো সেই সময় আমাকে লাগাম দেওয়ার মতো কেউ ছিলো না্ হয়তো ছিলো, কিন্তু কেউ হয়তো বুঝতে পারেনি। বা এমনও হতে পারে যে, আমার মধ্যে লাগাম দেওয়ার বদলে দূরত্ব বজায় রেখছে। যার জন্য নিজেকে খুব বেশি একা মনে হতো। প্রচন্ড একাকীত্বে ভুগতাম। মাঝে মধ্যেই  নিজের প্রতি ঘৃণা হতো প্রচন্ড। মনে হতো আমি কি ছিলাম একসময়। আর এখন কি হয়েছি! একসময় আমার কত বন্ধু ছিলো, বান্ধবী ছিলো। আর আজ প্রত্যেকে যেন দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করে। 


এই সমস্ত বিষয়ে কারো সাথে আলোচনা করতে পারতাম না। আমি যেন আরো বেশি এই অন্ধকার জগতে ডুবতে শুরু করলাম। কেন জানি না,  সৈকতদের সাথে মিশলে সমস্ত গ্লানি দূর হয়ে যেতো। 


এইভাবে মাসের পর মাস যায়, বার্ষিক পরীক্ষার আগমন ঘটে। কিন্তু আমার রেজাল্ট খুব খারাপ হলো। শুধু আমার একার নয়, আমরা যারা অন্ধকার জগতের সাথে যুক্ত ছিলাম, প্রত্যেকের রেজাল্ট খারাপ হলো। আমি তো একটা সাবজেক্টও ফেলও করে যাই। অথচ আমার রোল সবসময় দশের মধ্যে থাকত। 


রেজাল্ট শুনে তো বাবার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল। তিনি অনেক বেশি অবাক হলেন। হেডস্যারের কাছে নানা আকুতি মিনতি করলেন যেন আমাকে প্রমোশনটা দিয়ে দেয়। হেডস্যার আমাকে ভালো ছাত্র হিসেবে চিনতেন। বাবার সাইন নেয়া হয় যেন পরের বার ফেইল করলে আমাকে সরাসরি ডিমোশন দিতে পারে। বাবা কাঁপা কাঁপা হাতে সাইন করলেন।


মা আর দিদি আমার সাথে তো কথা বলাই বন্ধ করে দিলো। 


একদিন রাতে বাবা আমাকে প্রশ্ন করলেন, আমার কোন সমস্যা হয়েছে কিনা। কিন্তু সেদিন বাবাকে সত্যি কথাটা বলতে পারলাম না। যদি বলতাম, তাহলে হয়তো আজ……


আমি শুধু ধীর কণ্ঠে বললাম, “কাল থেকে ভালো করে পড়ব বাবা।”


বাবা করুণ কণ্ঠে বললেন, “দ্যাখ বাবা! কোনো রকম আমাদের দিন চলে। দিন রাত পরিশ্রম করি শুধু তোর জন্য। তোর যাতে পড়াশোনায় ঘারতি না হয়।”

আমি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বললাম, “তোমার চিন্তা নেই। কাল থেকে ভালো করে পড়বো।”


কিন্তু আমি আমার কথা রাখতে পারিনি। কাল থেকে ভালো করে পড়তে পারিনি। আমি আরো বেশি ডুবে যেতে থাকলাম অন্ধকার থেকে গভীর অন্ধকারে।


একদিন সৈকত বলল, “এভাবে আর কতদিন শুধু ভাচুর্য়াল ফিলিংস নেব ভাই! এবার নতুন কিছু করতে হবে।” সেদিন আমি তার মধ্যে এক পিশাচের হাসি দেখতে পেয়েছিলাম।


  • হুম।এভাবে আর থাকা যায় না। হাত কচলাতে কচলাতে বলল শুভ।


সেদিনের সকলের ভিতরে থাকা শয়তান সম্পূর্ণ পিশাচে রূপান্তরিত হয়েছিলো। আমি সব জেনেও যেন বাধা দিতে পারলাম না। মনে হলো আমিও দেব সেই অন্ধকার জগতে পারি। ভোগ করবো সমস্ত আনন্দের আস্ফালন। শুষে নেবো সমগ্র কামনার অঙ্গীকার।


সন্ধ্যায় মিটিং বসল ফরেস্টের ভিতরে একটি গাছতলার নিচে। যেখানে অন্ধকারও অন্ধকারকে চিনতে পারে না। কোনো মানুষের প্রবেশ হয় না অন্ধকার নামলেই। আমরা প্ল্যানিং করা শেষ করলাম।


একদিন শীতের রাতে একটা মেয়ে সাইকেল করে পড়ে বাড়ি ফিরছিলো। রাস্তা ছিলো ফাঁকা। তাকে আমরা আমাদের ফাঁদে ফেলে নিয়ে এলাম ফরেস্টের ভিতরে। 

শুভ ও অলোক মেয়েটার হাত চেপে ধরলো। সৈকত মুখে মোটা কাপড় ঢুকিয়ে দিলো মুখের ভিতরে। মেয়েটি ছটপট করছিলো বলে, সৈকত আবার তার হাত ও মুখ চেপে বেঁধে দিলো। অন্ধকারে আমরা কেউ বুঝতে পারিনি, মুখের বদলে আমরা গলায় চাপ দিয়েছিলাম। গলার এক তৃতীয়াংশ গেলো কেটে। ধীরে ধীরে মেয়েটা নিস্তেজ হয়ে পড়লো। আমরা তো পারি দিয়েছিলাম সুখের দেশে। উত্তেজনার পারদ নামাতেই ব্যস্ত ছিলাম সকলে। এরপর তো আমরা মেয়েটিকে নির্বস্ত্র করেই পালিয়ে এলাম। ভাবলাম, মেয়েটা হয়তো নিজে থেকেই বাড়ি চলে যাবে।


কিন্তু পরে জানতে পারলাম, মেয়েটা সেদিন আর বাড়ি ফেরেনি। চার পাঁচদিন পর লাশ উদ্ধার করে বিবস্ত্র তার দেহ। আমরা সকলে ভয় পেয়ে যাই।


সকলে সিদ্ধান্ত নিই বাড়ি থেকে পালিয়ে যাব। কিন্তু তার আগেই আমরা ধরা পড়ে যাই।


পুলিশ যখন আমাকে বাড়ি থেকে handcuff পড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। সেদিন দেখেছিলাম মায়ের চোখে জল। এ্বং বারবার চিৎকার করে বলতে লাগলো, “ আমার ছেলে নির্দোষ। ও এত বড় পাপ কাজ করতে পারে না। ও ছোট মানুষ ওকে ছেড়ে দিন।”


বাবা ধীরে ধীরে আমার কাছে এসে সজোড়ে চড় মেরে বললেন, “তোর মতো ছেলে আমার পরিবারে হতে পারে। আমি কখনো ভাবতেই পারিনি। তুই আমাদের কাছে মরে গেছিস।”


সেদিন আমি কিছু বলতে পারিনি। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকলাম। পাড়ার লোকেরা ঘৃণার নজরে তাকাতে লাগলো। কেউ কেউ মারতেও এলো। কিন্তু পুলিশ তাদের আটকায় এবং তারা আমায় থানায় নিয়ে আসে।


শেষবারের মতো দিদি কেঁদে কেঁদে  বললেন, “ভাই, তুই এমন কাজ করতে পারলি? রেপ যদি করতেই হতো, তাহলে আমাকে করতে পারতিস। অন্ততক কেউ জানতে পারতো না।” 


সেদিন দিদির মুখে এই কথাটা সহ্য করতে পারিনি। নিজের ঘৃতকর্মের কথা নিয়ে আফসোস করতে লাগলাম। কিন্তু এই কর্মের তো কোনো ক্ষমা নেই। আমাকে ফাঁসি দিলে হয়তো আমি মুক্তি পাবো। কিন্তু…..

মুক্তি কি আদৌ পাবো? মৃত্যুর পরেও আমাকে নিয়ে কেউ শোক প্রকাশ করবে না, ফেলবে না কেউ চোখের জল। যখনই আমার কথা মুখে আসবে, কুবাক্য ছাড়া আর কিছুই বেড়োবে না। আমি কাঁদতে লাগলাম।   


আমার নিস্তব্ধ মুখ দেখে, দিদি নিজের বুক থেকে ওরনা সরিয়ে গম্ভীর কণ্ঠে সজোরে বলে উঠলো, “এই নে ভাই। তুই আমাকে রেপ কর।”


যে দিদিকে আমি আজীবন মায়ের চোখে দেখতাম, শ্রদ্ধা করতাম, সেই দিদির এই রূপ কথা যেন বুকের ভিতর ছিন্নভিন্ন করে দিতে লাগলো। বারংবার দিদির একটা কথায় শুনতে পাচ্ছিলাম, “তুই কেন ওই নিষ্পাপ মেয়েটাকে মেরে ফেললি। তাও শুধু রেপ করিসনি। তুই কি জানিস কি কি করেছিস ওর সাথে? এত নিষ্ঠুর অত্যাচারও বোধ হয় ভগবান কোন পাপীকে দেয় না।”


শেষবারের মতো দিদিকে দেখেছিলাম সেদিন। বাবা একবারও আমার সাথে দেখা করতে আসেনি। 


আমি পরে শুনতে পেয়েছিলাম, দিদির আর বিয়ে হয়নি। কারণ ভাই রেপিস্ট, ধর্ষক। ধর্ষকের পরিবারের সাথে কেউ সম্পর্ক রাখে না। দিদি এই দুঃখে আত্মহত্যা করেছিলো। মা দিদি আর আমার শোক নিতে না পেরে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। বাবাও কদিন পর অসুস্থ হয়ে মারা গেলেন। 



আমি আজ ন’বছর পর জেল থেকে বের হলাম। কিন্তু আমার আজ কিছুই নেই। অদ্ভুত বিষয়, এখন আর আমার মধ্যে উত্তেজনা আসে না। আমার ভিতরের শয়তানও আর জাগে না। কারণ সে আমাকে এতদিন তিলে তিলে খেয়েছে। আমি আজ ভাবি সেদিনে সেই দুদিনের আনন্দে আমার পরিবার, আমার বাল্যকাল, ছেলেবেলা সবই হারিয়ে গেলো। থেকে গেলো আমার সেই কুকর্ম। যা আজও কেউ ভুলতে পারেনি। 


আমি আমার নিজের ঘরে যেতে পর্যন্ত পারলাম না। পাড়ায় ঢোকা নিষিদ্ধ হয়ে গেলো। তাই আমি চললাম, এক নতুন জগতের সন্ধান পেতে।  আমি জানি এই সমাজ কোনোদিন মেনে নেবে না আমাকে। 


আসলে কি জানেন তো, ধর্ষক কিন্তু কেউ একদিনে হয় না। তৈরী করে এই সমাজ। যেদিন আমি প্রথম অন্ধকার জগতে পারি দিয়েছিলাম। সেদিন হয়তো অনেকেই তা বুঝতে পেরেছিলো, কিন্তু তারা আমাকে দূরে ঠেলে দিয়েছিলো। কেউ আমাকে সেই অন্ধকার জগৎ থেকে টেনে তোলেনি। তাই আমি এখন অল্পবয়সী ছেলেদের মধ্যে কোনো রকম অশ্লীল আলোচনা শুনতে পেলে প্রথমেই আমি তাদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপণ করি এবং তাদের সাথে আমিও মিশে যাই। ধীরে ধীরে আমি তাদের সেই অন্ধকার জগৎ থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করি। কারণ আমি চাই না, আমার মতোই কোনো ধর্ষক তৈরী হোক!